গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের আজকের নতুন পর্বের আপডেট,
এপিসোড এর শুরুতে আমরা দেখতে পাই রাত্রে বেলা অদৃতের বাবা এবং মা দুজনে কথা বলছিল। আদির বাবা ওর মাকে বলে তুমি প্রজ্ঞার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছো সেটা অনেক ভালো করেছো। আমরা সবাই জানি ও যখন নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে চেয়েছিল তখন শুধু তুমি ওর পাশে ছিলে আর আজও তুমি ওর পাশে আছো। তখন আদির মা বলে সারা জীবন তো এই সংসারের কথা ভেবে গেলাম তাতে লাভটা কি হলো। কে দাম দিলো না তুমি না তোমার মা। তখন ঠাম্মি পিসিমণি অয়োনা এবং শিরিন শুভকে নিয়ে আদির মা এর রুমের সামনে আসে ওদের কথা শুনে সেবন্তী বাইরে আসে বলে কি হচ্ছে এখানে। তখন ঠাম্মি বলে আসলে ওদের রিসিপশনটা তো হয়ে গেছে কিন্তু শুভ তো এখনো আদির ঘরে যায়নি ওকে দাদু ভাইয়ের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে না তুমি কি বলো বড় বৌমা। সেবন্তি তখন বলে আমার আর কি বলার আছে মা যে একা একা নদীয়া থেকে নিউইয়র্কে চলে আসতে পেরেছে সে নিজের ঘরেও চলে যেতে পারবে একা একা। এটা বলে সে দরজা বন্ধ করে দেয়। শুভ তখন মন খারাপ করে। তখন ঠাম্মি বলে তুই মন খারাপ করিস না, বড় বৌমা এ কথা বলেছে তার মানে বড় বৌমা পারমিশন দিয়ে দিয়েছে। চল তোকে দাদুভাই এর ঘরে দিয়ে আসি আমরা তাই বলে সকলে মিলে শুভকে নিয়ে আদির ঘরে দিয়ে আসতে যাই।
এদিকে ঋদ্ধি রমিত এবং সুমিত আদির চোখ বন্ধ করে ওর রুমের ভিতরে নিয়ে আসে। চোখ ছাড়লে দেখে ওর ঘরটা ওরা সাজিয়েছে। আদি বলে এসব কি হচ্ছে এসব কে করেছে আর কেন করেছিস। তখন সেখানে অয়োনা সিরিন ওরা আসে শুভকে নিয়ে আর বলে আমরা করেছি এগুলো। তখন শুভকে অদ্রিত এর কাছে এগিয়ে দিয়ে ওরা সবাই গানের তালে একটু ডান্স করে আর মজা করে তারপর আদি কে বলে শোন দাদাভাই তোর বউকে তোর ঘরে দিয়ে দিতে এসেছি। এই নে তোর বউ আর তুই আমাদেরকে ডিস্টার্ব করবি না। তখন আদি বলে আচ্ছা ঠিক আছে এখন তোরা এখান থেকে যা তাইলে আমি আমার বউয়ের সাথে টাইম স্পেন্ড করবো। ওরা বলে তুই কিরে দাদা ভাই তোর কি একটুও লজ্জা নেই আমাদের কিভাবে তাড়িয়ে দিচ্ছিস। আদি মজা করে বলে বিয়ে হয়েছে এখনো বউকে একলাই পাইনি তোরা এক্ষুনি এখান থেকে যা। তারপর আদি ওদের সবাইকে বের করে দেয় রুম থেকে। তারপর শুভর কাছে আসে। আদি শুভর কাছে আসতে গেলে শুভ লজ্জায় চোখ বন্ধ করে থাকে। আদি শুভর কপালে একটা চুমু খায় তারপরে ওকে বলে ভয় নেই আমি তোমাকে কখনো জোর করবো না। তুমি যেদিন নিজে থেকে আমার কাছে আসবে সে দিনে আমরা একসাথে হবো আমার কোন তাড়া নেই। আজকে তোমার আমার ঘরে গৃহপ্রবেশ। তখন শুভ আদি কে জড়িয়ে ধরে।
শুভ আদি কে বলে তুমি সারা জীবন প্লিজ এভাবেই থেকো। আদি বলে আমি তোমাকে প্রমিস করতে পারলাম না শুভ। শুভ তখন মন খারাপ করে। তখন আদি বলে দেখো আমি যে সব সময় রাইট কথা বলব রাইট কাজ করবো এমনটাও তো নয়। আমার দ্বারা তো ভুল হতেই পারে। কিন্তু আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো তোমাকে ভালো রাখার। তখন শুভ আদি কে বলে আমি কোন অন্যায় করলে তুমি আমাকে বকো ঠিক আছে সমস্যা নেই। কিন্তু এভাবে সবার সামনে প্লিজ এমন করো না। আমি আসলে নিতে পারি না আমার খুব কষ্ট হয় অদ্রিত দা। আদি তখন শুভকে বলে বরকে আবার কেউ দা বলে ডাকে নাকি। অদ্রিত বলে ডাকো। শুভ বলে আমি কি করবো এটা তো আমার ছোটবেলার অভ্যাস। আদি বলে তোমার অভ্যাস চেঞ্জ করতে হবে এখনই বলো। কিন্তু শুভ বলতে চায় না দৌড় দেয় তখন আদি ও ওর সাথে মজা করে ওকে ধরতে যাই। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই যিনিয়া কিছুতেই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারসেনা। ও বলে শুভর কত বড় সাহস ও আমাকে চুপ করতে বলে। কিভাবে ঠিকানা পেলো আমি তো এটাই বুঝতে পারছি না। জিনিয়া বলে আমি ওকে ছাড়বো না আমার ইগোতে আঘাত করেছে ও। অদ্রিত কে আমি কখনোই চাইনি মম তুমি ঠিক করে আমাকে দিয়েছিলে। এখন আমার অদৃতের থেকে বেশি রাগ শুভর উপরে। আমি ওকে ছাড়বো না। ওর জীবনটা আমি শেষ করে দেবো।
এ দিকে শুভ আদি কে বলে তোমার ঘরটা এমন মরা মরা হয়ে আছে কেনো। আর প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে কেউ ঘর সাজায়। তারপর আলমারি খুলে বলে আলমারিতে তোমার কাপড় দিয়ে ভোরে আসে আমার কাপড় কোথায় রাখবো। আমার তো মনে হচ্ছে না যে এটা আমার ও ঘর আমার একটা কাপড় নেই এখানে। চলো আমরা দুজনে মিলে ঘর সাজায় আমি কাপড় গুলো এখানে রাখবো তুমি আমাকে হেল্প করবা। তারপর ওরা দুজনে মিলে শুভর সব জিনিস পাতি আলমারিতে রাখে। তারপর ঘরটাকে তাজা ফুল দিয়ে খুব সুন্দর করে ডেকোরেট করে। সব কাজ শেষ করে আদি শুভ এবং নিজের জন্য কফি বানিয়ে নিয়ে আসে। দুজনে মিলে কফি খায় আর আদি শুভকে বলে সত্যিই শুভ এখন আমার ঘরটাকে খুব সুন্দর লাগছে। অন্য দিকে আমরা দেখি সেবন্তী একা একা মনে মনে ভাবছে আজকের পর থেকে আমার ছেলে কি আমার থাকবে নাকি পুরোপুরি শুভর হয়ে যাবে। শুভ তুই আমার ছেলেটাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলি। এটা বলে আর নিজে নিজে রাগে ফুলতে থাকে।