দুই শালিক সিরিয়ালের 14 জানুয়ারির নতুন পর্ব আপডেট দেখুন
দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের পর্বে কালিপদ চুপি চুপি রাইমার ঘরে চলে যাই গহনা খুজতে। কালিপদ সেখানে গিয়ে দেখতে পাই তার ছোট্ট ভাগনি পড়াশোনা করছে। তখন কালিপদ সেই ছোট ভাগনির সাথে মজা করে। মজা করতে করতে ভাগনির পুতুল টা ফেলে দেয় মাটিতে। তাই ছোট ভাগনি কাদতে থাকে, তখন একজন ছোট ভাগনিটাকে ঝিলিকের কাছে নিয়ে যাই পুতুলটা সহ। তখন ঝিলিক ছোট্ট বাচ্চাটাকে নিয়ে সন্তনা দিতে থাকে। তারপর ছোট্ট মেয়ে টিয়ার পুতুলটা নিয়ে ঝিলিক দেখতে পাই সেখানে আলাদা ভাবে সেলাই করা! ঝিলিক নিজেকেই প্রশ্ন করে এখানে আলাদা ভাবে সেলাই দেওয়া কেন? এদিকে পিআরকে রাইমাকে বলছে ঝিলিক যেন গয়নার হদিস কোন ভাবেই না পাই। ঝিলিককে বেশি করে তার স্বামী গৌরবের কাছে ছোট বানানোর পরামর্শ দেয়। পিআরকে বলতে থাকে গৌরব যেন ঝিলিককে সহ্য করতে না পারে, ঝিলিক যখন একা হয়ে যাবে তখন ঝিলিক মরন দরজায় পৌঁছে যাবে। পিআরকে আরো বলে ঝিলিকের জন্য মৃত্যু দরজা খুলব আমি।
আঁখির বাবা পিআরকে কে হুমকি দিল
এদিকে তখনি আঁখির বাবা পিআরকে কে ফোন কল করে বলে তুমি যেভাবে আমার সব কিছু কেড়ে নিছো আমি ও তোমার থেকে সব কিছু কেড়ে নিব। তোমার বাড়ি তোমার ব্যবসা সব নিব। পিআরকে তখন রেগে যাই। আঁখির বাবা পিআরকে কে বলে ২০২৫ তোমার জন্য বিষের মতো হবে। এসব বলে আঁখি বাবা অনিমেশ রাই কল কেটে দিয়ে সিম বন্ধ করে দেয়। পিআরকে বুঝতে পারেনা কে ওকে এভাবে একেক দিন একেক নাম্বার থেকে কল দেয়। তখনি পিআরকে দেওয়াল থেকে অনিমেশ রায় এর ছবি নামিয়ে নিজের ছবি লাগিয়ে দেয়, আর পিআরকের ভাগনাকে কল করে বলে সিকিউরিটি গার্ড কে নিয়ে অফিসে আসতে। সিকিউটি গার্ডকে পিআরকে বলে তুমি থাকতে বাইরের মানুষ আমার অফিসে আসে কি করে, তখন সিকিউরিটি গার্ড বলে কেউ আসেনা বাইরের লোক,মাঝে মাঝে কন্টাক্ট দারের লোকজন আসে। তখন পিআরকে সবাইকে আই কার্ড আনার আদেশ দিলেন। আর সিকিউরিটি গার্ড কে চলে যেতে বল্লেন। সিকিউরিটি গার্ড চলে গেলে পিআরকে তার ভাগনাকে জিগ্যেস করে ছবির ফ্রেম বানাতে কত খরচ লাগে? তার ভাগনা বলে ১২০০ টাকার মতো লাগে, ব্যাস ওমনি পিআরকে বেধম পেটালেন তার ভাগনাকে। পিআরকে ভেবেছিল যে তার ভাগনাই তার ছবির পরিবর্তন করে অনিমেষ রাই এর ছবি লাগিয়েছিলো।
গহনা উদ্ধার করল ঝিলিক
সিরিয়ালের নায়ক গৌরব তার কাকাকে বলছে তুমি চিন্তা কর না কাকির চিকিৎসার টাকা জোগাড় হয়ে যাবে। তখন গৌরবের মা এসে গৌরবকে কিছু টাকা দিয়ে বলে এই নে কিছু টাকা আমার কাছে ছিল, সংসার বাঁচিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। গৌরব তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলে মা এটাই অনেক। এদিকে মায়ের চিকিৎসার জন্য চাচাতো বোন তার পরিক্ষার ফিটাও দিয়ে দিলো গৌরবকে। তখন পিসিমনির মেয়ে এসেও তার ব্লগ থেকে ইনকামের প্রথম টাকাটা গৌরব কে দিয়ে দিলো মামির চিকিৎসার জন্য। এদিকে অর্ক তার মায়ের চিকিৎসার জন্য নিজের শখের ক্যামারাটাও বিক্রি করে দিছে । তখন অর্ক বাবা বলে ঐ ক্যামেরাটা তর প্রাণ ছিলো তুই ওটা বেঁচে দিলি তোর মায়ের জন্য ? অর্ক বলে বাবা ক্যামারাটা অশান্তির কারন ছিল তাই অশান্তিকে আগে দূর করলাম। গোরব সব টাকা গুলো একসাথে করে কাউন্ট করতে বলে তখন আঁখি এসে বলে আমার গুলা তো বাকি আছে। তখন আঁখি পুতুলটাকে এনে দেখায় আর বলে এখানে আমার সব গয়না লুকিয়ে রেখেছে বৌদি মনি। তারপর পুতুলের পেট থেকে সব গহনা বের করে দেয়, বৌদি ধরা পরে আর আঁখি নিরপরাধা প্রমানিত হয়। তখন গৌরবের চাচা বলে রাইমার মতো বউ সব ছেলের জন্য লজ্জার আর আখির মতো বউ সব ছেলের জন্য গর্বের। তখন গৌরব নিজের সব ভূল বুঝতে পারে আর আঁখির কাছে sorry বলে। তখন আঁখি গৌরবকে ক্ষমা করে দেয়।
এরপর গৌরবের চাচা তার স্ত্রীর কাছে গিয়ে বলে আমাদের ছোট্ট ছেলে মেয়ে গুলা সবাই বড় হয়ে গেছে। সবাই তোমার চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করেছে। চাচা তার স্ত্রী রেবা কে বলছে সবাই তোমাকে খুব ভালোবাসে। তখন বাড়ির সবাই এসে কাকিমাকে বল্ল তুমি সুস্থ হলে আমরা সবাই তোমাকে নিয়ে নিউ ইয়ার সেলিব্রেট করবো। এদিকে আঁখিকে গৌরব ডাকছে ইশারা করে কিন্তু আখি যেতে চাচ্ছে না। কিন্তু গৌরবের চাচাতো বনের কথায় আঁখি আর গৌরব এক সাথে বের হয়ে গেলো। তখন গৌরব আঁখিকে বলছে তোমাকে কখন থেকে ডাকছি শুনছো না কেন, আখি বল্ল এটা হসপিটাল প্রেম করার জায়গা না। তখন গৌরব বল্ল আমি জানি এটা হসপিটাল তোমাকে একটা জুরুরি কথা বলতে ডাকলাম, তখন আখিকে গৌরব বল্ল তোমার গয়না গুলো আমি ছাড়িয়ে আনবো। আঁখি বল্ল না আমার গয়না আমার নিজের রোজগারের টাকায় ছাড়াবো। তখন গৌরব অবাক হয়ে বল্ল তুমি টাকা কোথায় পাবে? আখি বল্ল আমার মাথায় আইডিয়া আছে টাকা রোজগার করার। এদিকে ঝিলিক দেবার বাবার নাম জানার জন্য পল্টুদার কাছে গিয়ে জিগ্যেস করে, তখন পল্টু দা বলে ঝিলিক এই কথা তুই ভূলেও মুখে আনিস না দেবা রেগে যাবে। দেবার বাবা দেবা আর তার মায়ের অনেক ক্ষতি করছে।