গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের আজকের নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখি অদ্রিত শুভকে ড্রেস চেঞ্জ করে নিতে বললে শুভ বলে আমি এখানে করতে পারবোনা তুমি আছো এখানে। অদ্রিত বলে আমি কি করে যাব বলো বাইরে থেকে দরজাটা লক করা আছে। আচ্ছা আমি ঐদিকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছি এবার তুমি চেঞ্জ করে নাও। শুভ বলে আচ্ছা ঠিক আছে। অদ্রিত দুরে গিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে। শুভকে বলে আচ্ছা শুভ তুমি তো সারাদিন কিছু খাওনি তোমার খিদে লাগেনি। শুভ কোন উত্তর দেয় না অদ্রিত ডাকাডাকি করে শুভ উত্তর দেয় না দেখে ঘুরে তাকিয়ে দেখে শুভ ঘুমিয়ে পড়েছে আবার।অদ্রিত গিয়ে শুভকে অনেক ডাকাডাকি করে কিন্তু শুভ ডাক সোনে না। তারপর অদ্রিত বলে আর কিছু করার নেই এবার আমাকে চেঞ্জ করে দিতে হবে। এদিকে আয়োনা রোমিত শমিত রিদ্ধি ওদের কাছে কল দিয়ে খোঁজ নেই ওরা এখনো অদ্রিত আর শুভকে খুঁজে পাইনি। কাকু মণি বলে তাড়াতাড়ি ওদের খুঁজতে বল আমি আর কত লুকিয়ে রাখবো বাড়ির সবাইকে বলেসি ওরা রেস্ট নিয়ে। তিন বৌ যদি একবার জানতে পারে তাহলে লঙ্কা কান্ড করে ছাড়বে।
অদ্রিত শুভর ড্রেস চেঞ্জ করে দিয়ে একা একা বসে গতরাতের কথা ভাবতে থাকে। তারপর শুভর কাছে গিয়ে ওর মাথায় হাত বুলায় আর বলে কাল রাতে কত কান্ডই না করলো। সুন্দর ঘুমাচ্ছে কত ইনোসেন্ট ওয়াইফ আমার। বলে শুভ তোমার এই রূপ যে আমি কখনো দেখিনি। যদিও আমার চিন্তা হচ্ছিল তার পরেও আমি অনেক এনজয় করছিলাম তোমার এই রূপ টা। অদ্রিত একা একা ভাবে বাড়িতে তো কিছু জানানো হলো না এতক্ষনে ওরা তো সবাই চিন্তা করছে। বাড়িতে কল করতে গিয়ে দেখে ওর ফোনটায় কাছে নেই ফোন বাড়িতে রেখে চলে এসেছে। তারপর ভাবে রিদ্ধি সবটা ম্যানেজ করতে পারবে তো। এদিকে ঋদ্ধি রুমিত শমিত ওরা অদ্রিত দের খুঁজতে খুঁজতে পাগল হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে অয়না আর কাকুমনি টেনশন করতে থাকে। আয়োনা বলে ড্যাড এভাবে আর কতক্ষণ দরজা বন্ধ করে বসে থাকবো । বাইরে গেলে তো সবাই জিজ্ঞাসা করবে। প্লিজ তুমি কিছু একটা করো। তখনই সেখানে মেজো কাম্মা আসে আর বাইরে থেকে দরজা ধাক্কাতে থাকে বলে অদ্রিত দরজা খোল। ভেতর থেকে কাকু মনি বলে এখানে অদ্রিত নেই বৌদি। মেজ কাম্মা তখন বলে নেই মানে ওরা কি এখনো ফিরেনি ভোর হতে চলল। আমি এতবার ডাকছি কোন সাড়াশব্দ নিচ্ছো না দরজাটা খোলো। কাকু মানি ভেতর থেকে বলে দরজা খুলতে পারবো না। আমরা ফুল দিয়ে ঘর সাজাচ্ছি। মেজ কাম্মা বলে ঘর সাজাস্য তো দরজা বন্ধ কেন। তখনই ছোটকাম্মা ডাক দেয় আর মেজো কাম্মা ওখান থেকে চলে যায়।
এদিকে শুভ ঘুম থেকে উঠে দেখে তার ড্রেস চেঞ্জ। ও বলে কি হলো কাল তো আমার রিসেপশন পাটি এই ড্রেস পরে হয়নি তাহলে পাল্টে গেলো কি করে। অদ্রিত বলে কেন তুমি জানোনা।শুভ বলে না। অদ্রিত আবার জিজ্ঞাসা করে তোমার কি কেসুই মনে নেই। শুভ বলে না তো কি হয়েসেলো কাল রাতে। অদ্রিত বলে কাল না আমাদের ফুলশয্যা গেল ফুলশয্যায় যা হয় তাই হয়েছে। এটা আমার জীবনের সবথেকে ভাল রাত ছিল শুভ। শুভ তো লজ্জা লাল হয়ে যায়। অদ্রিত বলে তুমি এত লজ্জা কেন করছো শুভ। শুভ লজ্জা পায় আর বলে না এমন কিছু হয়নি তাহলে আমার তো মনে পড়তো। অন্যদিকে বাড়িতে অয়না আর কাকুমনি ঐ রুমের ভিতর ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল হয়ে গেছে ছোট কাম্মা এবং মেজো কাম্মা এসে দরজা ধাক্কাতে থাকে। কাকু মানি দরজা খুলতেই মেজ কাম্মা বলে শুভ কোথায়। কাকু মনি ইয়ে মানে মানে করতে থাকে। মেজ কাম্মা এবং ছোট কাম্মার রুমের ভেতরে ঢুকতে গেলে কাকু মনি ওদেরকে ঢুকতে দেয় না ওরা রাগ করে ওখান থেকে চলে যায় বড়দিকে ডেকে নিয়ে আসতে। এদিকে অদ্রিত শুভকে লজ্জা দিতে থাকে। তখন সেখানে রুমের মালিক চলে আসে আর বলে যে এটা আপনাদের বিল। অদ্রিত বিল দিতে গিয়ে দেখে তার ওয়ালেট ভুলে বাসায় রেখে চলে এসেছে। রুমের মালিকরা উল্টোপাল্টা বকাবকি করলে শুভ তার হাতের বালা খুলে দিয়ে দেয় বলে এগুলো রাখুন টাকা দিয়ে আমরা ছাড়িয়ে নিয়ে যাব।