দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই আঁখি নিচে দেবার কাছে ঘুমাতে গেলে দেবা আখিকে বলে তুমি এখান থেকে যাবা নাকি আমি গ্যারেজে গিয়ে ঘুমাবো। তখন আঁখি দেবা কে বলে তোমার গ্যারেজে যেতে হবে না তুমি উপরে গিয়ে ঘুমাও আমি নিচে শুয়ে পড়ছি। তারপর দেবা ওপরে খাটে গিয়ে ঘুমায় আর আখি নিচে পাটি তে ঘুমাই। আঁখি নিচে শুয়ে শুয়ে কান্না করতে থাকে। এভাবে সকাল হয়ে যায়। অন্যদিকে আমরা দেখি ছাতা বাড়ির সকলে সকালবেলা সাতার গোডাউনে চলে আসে। ঝিলিক ওখানে সবার জন্য চা নিয়ে আসে। গৌরব ঝিলিক কে বলে আমার চা দাও। ঝিলিক বলে চা নেই তো আপনার জন্য। গৌরব তার কাজ করতে থাকে ল্যাপটপে তার একটু পরে ঝিলিক এক কাপ কফি নিয়ে এসে গৌরবকে বলে আপনার জন্য চা নেই কিন্তু কফি আছে। গৌরব খুশি হয়ে যায় আর ঝিলিককে থ্যাংক ইউ দেয়। এদিকে বসে বসে কাকু মনি হিসাব করে কত কেমন খরচ হলো। গৌরব ওকাকু মনির কাছে গিয়ে হিসাব করে। ওরা বলে খরচ তো হয়েছে ভালোই ছাতা তৈরি হচ্ছে কিন্তু অর্ডারতো এখনো একটা ও আসেনি। আর অর্ডার না আসলে তো এই টাকা আমরা তুলতে পারবো না পরবর্তীতে ছাতা তৈরি করতে আমাদের সমস্যা হয়ে যাবে।
তখনই হঠাৎ করে সেখানে একজন মহিলা আসে একটা ছাতা হাতে নিয়ে। এসে বলে এটা কি কাঞ্জিলালের ছাতার গোডাউন। কাকুমনি বলে হ্যাঁ। তখন ঐ মহিলার হাতে ছাতাটা দেখে কাকু মণি বলে ওটা একটু দেবেন প্লিজ। মহিলা সাতটা দিলে কাকুমনি দেখে এটা কাঞ্জিলালের ছাতা। কাকুমনি মহিলাকে বলে এটা তো আমাদেরই গোডাউনের ছাতা অনেক পুরনো। তখন ভদ্রমহিলা বলে হ্যাঁ এই ছাতাটা আমার দাদু নিয়েছিল অনেক আগে এখান থেকে। আমার দাদু মারা যাবার পর আমার বাবা এটা ব্যবহার করেছেন আর আমার বাবা মরে যাওয়ার পর এখন এটা আমার কাছে আছে। এটা শুধু একটা ছাতা নয় এটা হচ্ছে আমার ইমোশন। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই দেবা সকালবেলা না খেয়ে গ্যারেজ এ চলে আসে। আঁখি দেবার জন্য খাবার নিয়ে গ্যারেজে আসে। আর দেবাকে খাবারটা দেয়। দেবা কে একটু সাইডে ডেকে নিয়ে আঁখি বলে তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও তারপর দুজন একসাথে যাব। কিন্তু দেবা বলে আমি যাব না ওখানে। আঁখি বলে তুমি এমন করলে আমি কিভাবে যাবো। তখনই সেখানে জুডোর মেয়েরা আসে। আর এসে বলে ঝিলিক দি তুমি আমাদেরকে আজকে জুডো শিখাবে না। এমন করলে তো জায়গার মালিক জায়গাটা নিয়ে নেবে।
আখি ওদেরকে বলে আজকে না অন্যদিন শিখাবো। কিন্তু মেয়েরা মানতে রাজি না ওরা আঁখি কে জোর করে নিয়ে যায়। আঁখি ওখানে যাবার পর ভাবে প্র্যাকটিস তো করাতে পারবো না। করাতে গেলে তো আবার সে দিনের মতো হবে আর ওরা আজকে এমন হলে ধরেই ফেলবে যে আমি ঝিলিক না। তারপর আঁখি বুদ্ধি করে ওদেরকে বলে দেখ আজকে আমার শরীরটা ভালো নেই তোরা আমার আগের যেসব প্র্যাকটিস করানোর ভিডিও মোবাইলে আছে ওগুলো দেখে একটু প্র্যাকটিস কর। আমি একটু শুয়ে থাকি তাহলে শরীরটা ঠিক হবে। এটা বলে আঁখি ওখান থেকে জুডোর রুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে। তারপর সেলাই দিদিমণি সেজে ওখান থেকে বের হয়ে যায়। অন্যদিকে সাঁতা কোম্পানিতে ওই ভদ্রমহিলা ওদেরকে বলে আসলে কাল আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতিবছর এই দিনে আমি একটা আশ্রমের বাচ্চাদেরকে কিছু না কিছু দেবার চেষ্টা করি। এবার যখন দেখলাম কানজিলালের সাঁতা কোম্পানি আবার খুলেছে তাই ভাবলাম ওদেরকে ছাতা দিব। আমি আসলে ৫০০ পিস ছাতার অর্ডার দিতে চাই। আর আমার ছাতাটা লাগবে পরশুদিন।
এত বড় অর্ডারের কথা শুনে সবাই অনেক চিন্তায় পড়ে যায় ঘাবড়ে যায়। ভাবে এত পিস সাতা তো একদিনের ভিতর কমপ্লিট করা সম্ভব নয়। তখন সেখানে আঁখি আসে। দেখে সবাই যেন কি টেনশন করছে। ঝিলিকের কাছে জানতে চাইলে ঝিলিক তখন বলে অনেক বড় একটা অর্ডার এসেছে তাও আবার একদিন পর দিতে হবে। গৌরব ভাবে যে অর্ডারটা ক্যান্সেল করে দেবে। আসলে এত বড় অর্ডার একদিনের ভিতর কমপ্লিট করা সম্ভব নয়। কাকুমনি ভদ্রমহিলা কে বলে আমরা সাপ্লাই দিয়ে দেবো আপনি খালি আর দুটো দিন বাড়িয়ে দিন। কিন্তু ভদ্রমহিলা বলে এটা আমার পক্ষে পসিবল না। কারণ আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী আমার কাছে অনেক বড় একটা দিন। আমি ওই দিনের আশ্রমের বাচ্চাদের জন্য কিছু করি প্রতিবছর। আপনারা যদি অর্ডারটা নিতে না চান তাহলে আমাকে অন্য কিছু ভাবতে হবে। তখন গৌরব যখনিও ভদ্রমহিলাকে বলতে যাবে আমাদের পক্ষে এত বড় অর্ডার নেওয়া পসিবল না। তখন ঝিলিক বলে আপনার অর্ডার আমরা কনফার্ম করলাম। আপনি আপনার ঠিক সময় মত আপনার ছাতা পেয়ে যাবেন।গৌরব কাকুমনি সবাই বলে এত বড় একটা অর্ডার আমরা কিভাবে কমপ্লিট করব। তখন ঝিলিক বলে যত কষ্টই হোক এটা আমি কমপ্লিট করবো কারণ এটা প্রথম অর্ডার আর বাড়িতে আসা লক্ষীকে আমি ফিরেয়ে দিতে পারব না।